KFE

saiful

 পটিয়া থানায় ইদানিং দালাল চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দালাল চক্রের কারণে থানায় আগত সেবাপ্রার্থীরা পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে। থানায় তিনস্তরের দালালচক্র পুলিশকে জিম্মি করে রেখেছে। এদের মধ্যে রয়েছে পেশাদার দালাল, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও কথিত ভূয়া সাংবাদিক। থানাতে এমনিতে কিছু পেশাদার দালালচক্র সবসময় থানার সোর্স হিসাবে কাজ করে থাকে। এদের পাশাপাশি বর্তমানে সরকার দলীয় কতিপয় নেতাকর্মী, ভূইঁফোর অখ্যাত পত্রিকার প্রতিনিধি, নাম সর্বস্ব অনলাইন পোর্টালের ফেসবুক চালক কিছু তরুণ নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থানায় দালালি করছে। 

সাইফুল ইসলাম সোহেল ১১নং কেলিশহর, খিল্লাপাড়া

এদের অনেকে বিভিন্ন নাম দিয়ে অনুমোদনহীন অনলাইন খুলে। সেখানে ভিডিও ছবি ছেড়ে সাংবাদিক হিসাবে নিজেদের জাহির করছে। থানায় সেবাপ্রার্থীর চেয়ে দালালের সংখ্যা বেশি। বিশেষকরে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী তরুণেরা প্রায় সময় থানা কম্পাউন্ডে ঘুরাফেরা করে। থানায় কেউ জিডি, অভিযোগ, কিংবা মামলা করতে আসলেই দালালের খপ্পরে পড়তে হয়। দালাল চক্রের কারণে কিশোর গ্যাং, ভূমি দখল, মাদক কারবারীরা ফায়দা লুটতে থাকে। এতে পুলিশের নাম দিয়ে দালাল চক্র হাতিয়ে নেয় সেবাপ্রার্থী থেকে হাজার হাজার টাকা। ভুয়া সাংবাদিকেরা অনেক সময় রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত থানায় বসে থাকে। এসব সাংবাদিকদের কারণে পটিয়ার প্রকৃত সাংবাদিকেরা বিব্রত। থানায় দালাল ও ভুয়া সাংবাদিকের তৎপরতা বৃদ্ধিতে পটিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম রানা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আরোপ করেন।

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, কে দালাল কে সেবাপ্রার্থী সহজে বোঝা যায় না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.